Friday, 20 December 2013

সর্ববৃহৎ দশটি মসজিদ, নির্মিত সাল, আয়তন ও ধারন ক্ষমতা



মসজিদ মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা। শব্দটির উৎপত্তি আরবি “মসজিদ” থেকে, যার আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা অর্থৎ সিজদাহ করা। মসজিদের মালিক হলেন স্বয়ং আল্লাহ। গণপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মসজিদ মুসলমানদের চিন্তাদর্শ প্রকাশের একটি উত্তম স্থান। নবীজী সামাজিক কোনো স্খলন বা চিন্তার কোনো ত্রুটি দেখলে মসজিদে হাজির হতেন এবং বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতেন।এভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক বিষয়ের বাইরেও সার্বিক ক্ষেত্রে মুসলমানদের সঠিক পথে পরিচালিত করার ব্যাপারে মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ধর্ম প্রসারের সাথে সাথে মসজিদ আরব উপদ্বীপের সীমা ছাড়িয়ে বিস্তারলাভ করতে থাকে। ৬৪০ খ্রিস্টাব্দের প্রথমদিকে মিসরে অনেক মুসলমানের সমাগম ঘটে। তখন এই দেশে এতো মসজিদ নির্মিত হয় যে, রাজধানী কায়রোকে ডাকা হত হাজার মিনারের শহর বলে।

আজ আমরা বিশ্বের দশটি বৃহতম মসজিদ নিয়ে আলোচনা করব এই মসজিদ গুলোর তালিকা করা হয়েছে বিশেষ করে মসজিদের আয়তন ও ধারন ক্ষমতার উপর ভিওি করে

10th>শেখ জায়েদ মসজিদ:  “আরব আমীরাত”

শেখ জায়েদ মসজিটটি সংযুক্ত আরব আমীরাতের আবুধাবীতে অবস্হিত।এটি বর্তমানে বিশ্বের দশম বৃহতম মসজিদ এবং আবুধাবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ । এই মসজিদটি ২০০৭ সালে নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। মসজিদটির আয়তন ২২,০০০ স্কয়ার মিটার। এখানে এক সাথে ৪০,০০০ জনের নামাজ আদায় করার সুব্যাবস্হা রয়েছে।

বিভিন্ন আকারের ৮২টি গম্বুজ ও ৪টি মিনার রয়েছে এখানে। সবচেয়ে উচু মিনারটির উচ্চতা ১০৭ মিটার (৩৫১ ফুট)। অত্যন্ত দামী ও রেয়ার মার্বেল, গোল্ড প্লেটেড কপার, ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে। এই মসজিদের ব্যবহৃত ৫.৬২৭ স্কয়ার মিটার (৬০,৫৭০ স্কয়ারফুট) ক্ষেত্রের কার্পেটটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় কার্পেট।


9th> ফয়সাল মসজিদ:  “পাকিস্তান”

১৯৮৬ সালে নির্মিত ফয়সাল মসজিদটি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্হিত যা দক্ষিন এশিযার বৃহত্তর ও পৃথিবীর নবম বৃহত্তর মসজিদ। তৎকালীন সৌদি বাদশা ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ পাকিস্তানে মসজিদটি নির্মানের ইচ্ছা পোষন ও সহযোগিতা করেন। তাঁর নামে নামকরন করা হয় মসজিদটি।

8th> দিল্লি জামে মসজিদ:
পুরাতন দিল্লিতে অবস্হিত Masjid-i Jahān-Numā দিল্লি জামে মসজিদ নামে পরিচিত।দিল্লি জামে মসজিদ বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তর মসজিদ। মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৫৬ সালে মসজিদটি নির্মান করেন। মসজিদটি ২৬১ ফুট (৮০ মিটার) দৈর্ঘ্য এবং ৯০ ফুট (২৭ মিটার) প্রস্হ বিশিষ্ট।

মসজিদটিতে এক সাথে ৮৫,০০০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ ও দুইটি মিনার রয়েছে। মিনার দুইটির উচ্চতা ৪১ মিটার (১৩০ ফুট)। মিনারে সিড়ি বেয়ে উঠার ব্যাবস্হা রয়েছে। মসজিদটি নির্মানে পাথর, পোড়া মাটি/লাল ইট ব্যবহার করা হয়।




7th > বাদশাহী মসজিদ: “পাকিস্তান”





মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেব ১৬৭৩ সালে পাকিস্তানের লাহোরে মসজিদটি নির্মান করেন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তর মসজিদ। মসজিদটির আয়তন ২৯৮৬৭.২ স্কয়ার মিটার এবং লোক ধারন ক্ষমতা ১,১০,০০০ জন।

মসজিদটিতে সর্বমোট ৮টি মিনার ও ৩টি গম্বুজ রয়েছে। চার কোনে অবস্হিত উঁচু মিনার চারটির উচ্চতা ১৭৬.৪ ফুট (৫৩.৭৫ মিটার)। ঐতিহাসিক মসজিটির নামাজ কক্ষ সাতটি সেকশনে ভাগ করা। মসজিদটি নির্মানে পাথর, পোড়া মাটি/লাল ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে মার্বেল ও টাইলস সংযোজন করা হয়।

6th> হাসান মসজিদ:  “মরোক্কো”




হাসান II মসজিদটি মরোক্কোর সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহত্তর মসজিদ। ১৯৯৩ সালে স্হাপিত মসজিদটি মরক্কোর কাসাবলংকায় আবস্হিত। মসজিদটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীর ঘেষে নির্মান করা হয়েছে।

মসজিদটির আয়তন ৯০,০০০ স্কয়ার মিটার। এখানে এক সাথে ১,০৫,০০০ জন নামাজ আদায় করতে পারেন। বিশ্বের (মসজিদের) সবচেয়ে উচ্চ মিনারটি এই মসজিদে রয়েছে যার উচ্চতা ২১০ মিটার (৬৮৯ফুট)। অত্যন্ত দামী ও রেয়ার মার্বেল, গ্রানাইড, পাথর, কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদটিতে যা মরোক্কোর ছয় হাজার আর্টিস্টের প্রায় পাঁচ বছর লেগেছিল স্হাপন করতে। মসজিদটিতে নিখুঁতভাবে ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে নয়নাভিরাম কারুকার্য।

5th> ইস্তিকলাল মসজিদ:  “ইন্দেনেশিয়া”

ইস্তিকলাল মসজিদটি ইন্দেনেশিয়ার জাকার্তায় অবস্হিত। দক্ষিন-পূর্ব এশিযার বৃহত্তর ও বিশ্বের ৫ম বৃহত্তর মসজিদ এটি। ১৯৭৮ সালে নির্মান করা মসজিদটির আয়তন ৯৫,০০০ স্কয়ার মিটার এবং লোক ধারন ক্ষমতা ১,২০,০০০ জন। নামাজের মূলস্হান অর্থাৎ মসজিদের মধ্য স্হানে রয়েছে বিশাল আকৃতির গম্বুজ যা বারটি বৃত্তাকার পিলারের উপর তৈরী(বসানো)।



বড় গম্বুজটি ছাড়াও রয়েছে আরও একটি ছোট গম্বুজ আর একটি মিনার (উচ্চতা ৯০ মিটার)। চার স্তরের বেলকনীবিশিষ্ট মসজিদটিতে আয়োজন করা হয় ইসলামিক লেকচার, এক্সিবিশন, সেমিনার কন্ফারেন্স সহ আলাদাভাবে মহিলা ও শিশুদের ইসলাম শিক্ষা ব্যাবস্হা।

মসজিদটি নির্মান ইতিহাস: “ইস্তিকলাল” আরবী শব্দ যার বাংলা অর্থ স্বাধীনতা। ইন্দোনেশিয়া ১৯৪৯ সালে স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকেই সেখানে “ইস্তিকলাল” নামে জাতীয় মসজিদ নির্মানের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়। ডিজাইন ও অন্যান্য ব্যাবস্হাপনা ঠিক করে ১৯৬১ সালে মসজিদটির ফাউন্ডেশন দেয়া হয় এবং ১৯৭৮ সালে মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ হয়। মসজিদটির ভিত্তি স্হাপন থেকে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত মোট ১৭ বছর সময় লেগেছে।

4th> তাজ উল মসজিদ:  “ভারত”

তাজ উল মসজিদ ভারতের ভোপালে অবস্থিত এটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তর মসজিদ । ১৯০১ সালে এই মসজিদটি নির্মান করা হয়।মসজিদটির আয়তন ৪,০০,০০০ স্কয়ার মিটার বা ৯৮ একর ।

 এই মসজিদে ১,৭৫,০০০ জন মানুষ একসাথে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারে।













3rd> মসজিদে নববী: ০৩ “সৌদি আরব”

পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর মসজিদ হচ্ছে মসজিদে নববী। মসজিদে নববী র শাব্দিক অর্থ হলো নবীর মসজিদ, মদীনায় হিজরতের পর নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক নির্মিত মদিনা মসজিদ কে বোঝানো হয়ে থাকে। হিজরতের পর মুসলমানদের নামাজের জন্য নবী মুহাম্মদ (সাঃ) “মদীনা মসজিদ” অর্থাৎ “মসজিদে নববী” নির্মাণ করেন। মসজিদটি নির্মান করতে ৭ মাস সময় লেগেছিল। ৬২২ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরের পর থেকে শুরু হয়ে ৬২৩ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মদিনা মসজিদের নির্মান কাল নির্ধারন করা হয়।



এই মসজিদের অভ্যন্তরে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রওজা সমাধিস্থল অবস্থিত। মহানবীর (সাঃ) র রওজার দু’পাশে রয়েছে হযরত আবুবকর (রাঃ) ও হযরত ওসমান (রাঃ)-এর কবর। বিশেষ করে হজ্জ সম্পাদনের আগে বা পরে হাজ্জ্বীরা মসজিদে নববীতে এক নাগাড়ে কমপক্ষে ৮ দিন অবস্থান করে নাগাড়ে ৪০ রাক্বাত নামাজ আদায় করেন। মসজিদটির আয়তন ৪০০৫০০ স্কয়ার মিটার এবং ধারন ক্ষমতা ৬,৫০,০০০ জন।

2nd> ইমাম রেজা শ্রাইন:  “ইরান”

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মসজিদ হচ্ছে Imām Reza shrine. মসজিদটি ইরানের মাসহাদে অবস্হিত। ইতিহাসে জানা যায় ৮১৮ সালে মসজিদটি নির্মান করা হয়। ইমাম রিধঅ সহ আট ইমামের সমাধি রয়েছে এখানে। মসজিদের মূল অংশ ৫৯৮৬৫৭ স্কয়ার মিটার সহ সর্বমোট আয়তন ৬৪৪৩৮৯০ স্কয়ার ফুট এবং ধারন ক্ষমতা ৭,০০,০০০ জন। মসজিদটির সাথে একটা মিউজিয়াম, লাইব্রেরী, চারটা সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং হল ও একটি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এখানে সুবিশাল বেশ কয়েকটি নামাজ ও ইবাদত কক্ষ রয়েছে যেখানে লাখো লাখো মুসলমান একসাথে অবস্হান করতে পারেন।




মসজিদ মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা। শব্দটির উৎপত্তি আরবি “মসজিদ” থেকে, যার আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা অর্থৎ সিজদাহ করা। মসজিদের মালিক হলেন স্বয়ং আল্লাহ। গণপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মসজিদ মুসলমানদের চিন্তাদর্শ প্রকাশের একটি উত্তম স্থান। নবীজী সামাজিক কোনো স্খলন বা চিন্তার কোনো ত্রুটি দেখলে মসজিদে হাজির হতেন এবং বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতেন।এভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক বিষয়ের বাইরেও সার্বিক ক্ষেত্রে মুসলমানদের সঠিক পথে পরিচালিত করার ব্যাপারে মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।


1st> মসজিদ আল-হারাম: “সৌদি আরব”




বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও প্রধান মসজিদ হচ্ছে মসজিদ আল-হারাম।
 ৬৩৮ সালে স্হাপিত মসজিদটি সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে অবস্হিত। মসজিদটি পবিত্র ক্কাবা ঘরের চতুর্বেষ্টিত। ৩৫৬৮০০ স্কয়ার মিটার আয়তন (৮৮.২ একর) বিশিষ্ট মসজিদটির লোক ধারন ক্ষমতা ৮,২০,০০০ জন।



এখানে সর্বমোট ৯টি মিনার রয়েছে। ইতিহাসে জানা যায়, আল্লাহ র হুকুমে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ক্কাবা ঘর ও তদ্বসংলগ্ন এই মসজিদ নির্মান করেন। ক্কাবা ঘরের দিকে নির্দেশনা করেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে নামাজ আদায় করা হয়। ক্কাবা ঘরের পূর্ব পাশে রয়েছে (বর্তমান রং) কালো একটা পাথর। পবিত্র ক্কাবা ঘর তাওয়াফ করা হজ্জ্বের অপরিহার্য একটা আঙ্গিক।









in 2020 the futureLLAH masjid e haram IN SHA ALLAH.>

জমজম কূপ সম্মন্ধে কিছু জানা অজানা তথ্য


১)আল্লাহ তা'লার অসীম কুদরতে ৪০০০ বছর পূর্বে সৃষ্টি হয়েছিল।

২) ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার পানি উত্তোলন করার পরও পানি ঠিক সৃষ্টির সূচনা কালের ন্যায়।

৩) পানির স্বাদ পরিবর্তন হয়নি,জন্মায়নি কোন ছত্রাক বা শৈবাল।

৪) সারাদিন পানি উত্তোলন শেষে,মাত্র ১১ মিনিটেই আবার পূর্ণ হয়ে যায় কূপটি।

৫) এই কূপের পানি কখনও শুকায়নি,সৃষ্টির পর থেকে একইরকম আছে এর পানি প্রবাহ, এমনকি হজ্ব মৌসুমে ব্যবহার ক'য়েক গুন বেড়ে যাওয়া সত্বেও এই পানির স্তর কখনও নিচে নামে না।

৬) সৃষ্টির পর থেকে এর গুনাগুন, স্বাদ ও এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান একই পরিমানে আছে।

৮) এই কূপের পানির মধ্যে ক্যালসিয়ামও ম্যাগনেসিয়াম সল্ট এর পরিমান অন্যান্য পানিরথেকে বেশী, এজন্য এইপানি শুধু পিপাসা মেটায় তা না, এইপানি ক্ষুধাও নিবারণ করে।

৯) এই পানিতে ফ্লুরাইডের পরিমানবেশী থাকার কারনে এতে কোন জীবানু জন্মায় না ।

১০) এই পানি পান করলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায় 





লাইলাতুল কদর

•► লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের চিহ্ন, নিশানা, আলামত সমূহঃ

•► শবেকদরের কিছু আলামত আছে যা রাতের মধ্যেই দেখা যায় এবং আর কিছু আলামত আছে যা রাতের পরে সকালে দেখা যায়। যে সব আলামত রাতে পরিলক্তিত হয় তা নিম্নরূপঃ-

১. শবে কদরের রাতের আকাশ অস্বাভাবিক উজ্জ্বল থাকে। অবশ্য এ আলামত শহর বা গ্রামের ভিতর বিদ্যুতের আলোর মাঝে থেকে লক্ষ্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু যারা আলো থেকে দূরে মাঠে-ময়দানে থাকে, তারা সে ঔজ্জ্বল্য লক্ষ্য করতে পারে।

২. অন্যান্য রাতের তুলনায় শবে কদরের রাতে মুমিন তার হৃদয়ে এক ধরনের প্রশস্ততা, স্বস্তি ও শান্তি বোধ করে।

৩. অন্যান্য রাতের তুলনায় মুমিন শবে কদরের রাতে কিয়াম বা নামাযে অধিক মিষ্টতা অনুভব করে।

৪. এই রাতে বাতাস নিস্তব্ধ থাকে। অর্থাৎ, সে রাতে ঝোড়ে বা জোরে হাওয়া চলে না। আবহওয়া অনুকূল থাকে। মহানবী (সঃ) বলেন, “শবে কদরের রাত উজ্জ্বল।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং) অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “নাতিশীতোষ্ণ; না ঠাণ্ডা, না গরম।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)

৫. শবে কদরের রাতে উল্কা ছুটে না। (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)

৬. এ রাতে বৃষ্টি হতে পারে। মহানবী (সঃ) বলেন, “আমাকে শবে কদর দেখানো হয়েছিল; কিন্তু পরে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাত্রে তা অনুসন্ধান কর। আর আমি দেখেছি যে, আমি পানি ও কাদাতে সিজদা করছি।” (সহীহ বুখারী ২০১৬, সহীহ মুসলিম ১১৬৭) অতঃপর ২১শের রাত্রিতে সত্যই বৃষ্টি হয়েছিল।

৭. শবে কদর কোন নেক বান্দা স্বপ্নের মাধ্যমেও দেখতে পারেন। যেমন কিছু সাহাবা তা দেখেছিলেন।
পক্ষান্তরে যে সব আলামত রাতের পরে সকালে দেখা যায় তা হল এই যে, সে রাতের সকালে উদয়কালে সূর্য হবে সাদা; তার কোন কিরণ থাকবে না। (মুসলিম ৭৬২নং) অথবা ক্ষীণ রক্তিম অবস্থায় উদিত হবে; (সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭৫নং) ঠিক পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত। অর্থাৎ, তার রশ্মি চারিদিকে বিকীর্ণ হবে না।
আর লোক মুখে যে সব আলামতের কথা প্রচলিত; যেমনঃ সে রাতে কুকুর ভেকায় না বা কম ভেকায়, গাছ-পালা মাটিতে নুয়ে পড়ে আল্লাহকে সিজদা করে, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মিঠা হয়ে যায়, নূরের ঝলকে অন্ধকার জায়গা আলোকিত হয়ে যায়, নেক লোকেরা ফিরিশতার সালাম শুনতে পান ইত্যাদি আলামতসমূহ কাল্পনিক। এগুলি শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাছাড়া এ সব কথা নিশ্চিতরূপে অভিজ্ঞতা ও বাস্তববিরোধী। (দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস-সায়েমীন ৯২পৃঃ, আশশারহুল মুমতে’ ৬/৪৯৮-৪৯৯)




রোযাদারদের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাঃ

রোযাদারদের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাঃ

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যাক্তির দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না – ১. রোযাদারের দুআ ইফতার করা পর্যন্ত, ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের দুআ, ৩. মাজলুমের দুআ। আল্লাহ্‌ তায়ালা তাদের দুআ মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।"

[ মুসনাদে আহমাদ, হাদীসঃ ৯৭৪৩; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদীস ৩৪২৮; ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭৫২ ]

শেয়ার ও ট্যাগ করে আপনার প্রিয়জনদের কাছে পৌঁছে দিন ইসলামের শাশ্বত বাণী




আপনার সন্তান কে কুরআন শিক্ষা দিন




আপনার সন্তান কে কুরআন শিক্ষা দিন,এটা সকল পিতা মাতার উপর কর্তব্য।

সফরে থাকা অবস্থায় নামাযের নিয়মঃ



সফরের সময় রাকাত ফরয (যোহর+আসর+ইশা) নামায রাকাত পড়তে হয়, কিন্তু / রাকাত ফরয নামায / রাকাতই পড়তে হয় একে নামাযকসরবা সংক্ষিপ্ত করা বলা হয়

আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফরে থাকা অবস্থায় ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নত নামাযগুলো পড়তেন না, ফযরের রাকাত সুন্নত আর বিতির নামায ছাড়া তাই আমাদেরও উচিত হবেনা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যা করেন নি সেটা করা



Thursday, 19 December 2013

কবরে চাপা দেয়া সংক্রান্ত হাদীস

কবরে চাপা দেয়া সংক্রান্ত হাদীস


আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন তোমাদের মধ্য হতে কোন মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়া হয় তখন কালো ও নীল বর্ণের দু জন ফেরেশতা আগমন করে। একজনের নাম মুনকার অন্যজনের নাম হল নাকীর। তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা কী বলতে? সে বলবে, সে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। তখন ফেরেশতাদ্বয় বলবে, আমরা আগেই জানতাম তুমি এ উত্তরই দেবে। এরপর তার কবরকে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয়। সেখানে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তাকে বলা হয়, এখন তুমি নিদ্রা যাও। সে বলবে, আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যাবো, তাদেরকে (আমার অবস্থা সম্পর্কে) এ সংবাদ দেব। তখন ফেরেশতাদ্বয় তাকে বলে, তুমি ঘুমাও সেই নব বধুর মত যাকে তার প্রিয়জন ব্যতীত কেহ জাগ্রত করে না। এমনিভাবে একদিন আল্লাহ তাকে জাগ্রত করবেন।

আর যদি সে ব্যক্তি মুনাফেক হয়, সে উত্তর দেবে আমি তাঁর (রাসূলুল্লাহ) সম্পর্কে মানুষকে যা বলতে শুনেছি তাই বলতাম। বাস্তব অবস্থা আমি জানি না। তাকে ফেরেশ্‌তাদ্বয় বলবে, আমরা জানতাম, তুমি এই উত্তরই দেবে। তখন মাটিকে বলা হবে তার উপর চাপ সৃষ্টি করো। মাটি এমন চাপ সৃষ্টি করবে যে, তার হাড্ডিগুলো আলাদা হয়ে যাবে। কেয়ামত সংঘটনের সময় তার উত্থান পর্যন্ত এ শাস্তি অব্যাহত থাকবে।

বর্ণনায়: তিরমিজী, তিনি বলেছেন হাদীসটি হাসান গরীব। আলবানী রহ. বলেছেন হাদীসটির সুত্র হাসান। হাদীসটি ইমাম মুসলিমের বিশুদ্ধতার শর্তে উত্তীর্ণ।


হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :


১- কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাদের নাম ও তাদের বর্ণ আলোচনা হল।
২- ঈমানদারদের জন্য কবর প্রশস্ত করা হবে। কবরের অন্ধকার দূর করতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
৩- ঈমানদার কবরের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চাবে তার নিজের সফলতার সুসংবাদ শুনানোর জন্য ও পরিবারের লোকেরা যেন এ সফলতা অর্জনের জন্য সৎকর্ম করে সে ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য।
৪- ঈমানদার ব্যক্তি বরযখের জীবনে সুখ-নিদ্রায় বিভোর থাকবে। যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন তার নিদ্রা ভেঙ্গে যাবে ফলে সে অনেকটা বিরক্তির স্বরে বলবে :
يَا وَيْلَنَا مَنْ بَعَثَنَا مِنْ مَرْقَدِنَا هَذَا مَا وَعَدَ الرَّحْمَنُ وَصَدَقَ الْمُرْسَلُونَ (سورة يس : 52)
হায়! কে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো? (তাদের বলা হবে) এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুণাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৫২)
৫- কাফের ও মুনাফেকরা কবরে শাস্তি ভোগ করবে।

Monday, 16 September 2013

আমাদের সমাজে প্রচলিত ৮১টি কুসংস্কার !!

প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এধরনের বহু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত মানুষ কথায় ও কাজে ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর প্রতি বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য মারাত্মক হুমকী। কিছু কিছু হল শিরক এবং স্পষ্ট জাহেলিয়াত। কিছু কিছু সাধারণ বিবেক বিরোধী এবং রীতিমত হাস্যকরও বটে। মূলত: বাজারে ‘কি করিলে কি হয়’ মার্কা কিছু বই এসবের সরবরাহকারী। অশিক্ষিত কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসে এগুলোকে লালন করে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরী। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কুসংস্কার থেকে এখানে কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আপনাদের নিকট যদি কিছু থাকে তবে মন্তবের ঘরে সংযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।





১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে। ২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে। ৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই। ৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে। ৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে। ৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে। ৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে। 




৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। ৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে। ১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না। ১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না। ১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে। ১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে। ১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে। ১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।” ১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না। ১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়। ১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে। ১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। ২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না। ২১) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে। ২২) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না। ২৩) মহিলাদের মাসিক অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না। ২৪) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে। ২৫) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহরা নষ্ট হয়ে যাবে। ২৬) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে। ২৭) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে। ২৮) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাইতে নাই। ২৯) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে। ৩০) আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে আর কোন দিন বিবাহ হবে না। ৩১) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয় খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়। ৩২) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই। ৩৩) গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতে নাই। ৩৪) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে। ৩৫) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই। ৩৬) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না। ৩৭) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে। ৩৮) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বাহির হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না। ৩৯) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে। ৪০) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না। ৪১) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে। ৪২) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে। ৪৩) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ। ৪৪) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়)আসবে। ৪৫) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই। ৪৬) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই। ৪৭) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে। ৪৮) কাক ডাকলে বিপদ আসবে। ৪৯) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে। ৫০) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে। ৫১) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না। ৫২) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।” ৫৩) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে। ৫৪) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই। ৫৫) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে। ৫৬) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে। ৫৭) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে। ৫৮) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে। ৫৯) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে। ৬০) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে। ৬১) সকাল বেটা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না। ৬২) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না। ৬৩) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে। ৬৪) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে। ৬৫) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে। ৬৬) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়। ৬৭) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে। ৬৮) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ৬৯) বিনা ওযুতে বড় পীর (!!) আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে। ৭০) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ৭২) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে। ৭৩) স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ। ৭৪) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে। ৭৫) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে। ৭৬) বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়। ৭৭) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্হিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে “দোস্ত তোর হায়াত আছে।” কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম। ৭৮) হঠাৎ বাম চোখ কাপলে দুখঃ আসে। ৭৯) বাড়ী থেকে কোথাও জাওয়ার উদ্দেশে বেড় হলে সে সময় বাড়ির কেউ পেছন থেকে ডাকলে অমঙল হয়। ৮০) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়। ৮১) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃস্টি থেকে বাচা জায়। -

Sunday, 17 March 2013

TRUTH












ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো সাধারণ গাছ নয়। আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগের ঘটনা এটি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ১২ বছর ছিল তখন এই গাছটি তাঁকে আল্লাহ তা’আলার ইশারায় নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল। আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে। সুবাহানাল্লাহ। এই গাছটি "একমাত্র জীবিত সাহাবী গাছ" হিসাবে পরিচিত!! গাছটি জর্ডানের এক মরুভূমী এলাকায় অবস্থিত। আরেকটি অবাক করার মত ব্যপার হল গাছটির শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় এটি ছাড়া আর কোনো গাছ নেই।
এই গাছটির নিচে কখনো কেহ বসতে পারেনি! তখন গাছটিতে কোন পাতা ছিলনা! নবী করিম (সাঃ) ছেলেবেলায় ওঁনার চাচার সাথে জর্ডানে যান এবং পথ চলতে চলতে এই গাছটির নিচে বসেন। বসার সাথে সাথে গাছটিতে পাতা বাহির হয়। সুবাহানাল্লাহ।
দূরে জারজিস ওরফে বুহাইরা নামের একজন খৃষ্টান পণ্ডিত থাকতেন তিনি নবীজির চাচার কাছে এসে বললেন আমি এতদিন এখানে আছি কেহ এই গাছের নিচে বসতে পারেনি এবং এই গাছের কোন পাতা ছিল না।
খৃষ্টান পন্ডিত জিজ্ঞেস করলেনঃ- এই ছেলেটির নাম কি ? চাচা বললেন মোহাম্মদ! আবার জিজ্ঞস করলেনঃ- বাবার নাম কি ? আব্দুল্লাহ ! মাতার নাম ? আমিনা !
বালক মুহাম্মাদ (সা) কে দেখে, তার সাথে কথা বলে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকী রইলো না যে এই সে বহু প্রতিক্ষীত শেষ নবী, ইতিহাসের গতি পরিবর্তকারী, আরবসহ সমগ্র পৃথিবী থেকে পৌত্তলিকতার বিনাশকারী, একত্ববাদকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠাকারী।
সাথে সাথে খৃষ্টান পন্ডিত বললেন আমি পড়েছি ইনি হলেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী।
আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুর'আনে বলেনঃ-
"তুমি কি লক্ষ কর না আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? সৎ বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষ যাহার মূল সুদৃড় ও যাহার শাখা-প্রশাখা ঊর্ধে বিস্তৃত। যে প্রত্যেক মৌসুমে তার ফল দান করে তাহার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে এবং আল্লাহ মানুষের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন যাহাতে তাহারা শিক্ষা গ্রহণ করে" [সূরা ইবরাহীমঃ ২৪-২৫]
 

Friday, 15 March 2013




[End of Times! Signs of Hours: কেয়ামতের একটি আলামত]
-------------- তারা যেন কাপড় পড়া অবস্থায় নগ্ন --------------

মহিলাদের দেখা যাবে পোশাক পরিধান করা অবস্থায় তারা যেন নগ্ন, কেয়ামতের একটি আলামত হল অসচ্চরিত্রের (মহিলার দেহ) দেখা যাবে এবং বোরকা ছাড়া। মহিলারা বাইরে যাবে টাইট কাপড় পড়ে এতে তাদের দেহের শ্যাপ বা আকার বুঝা যাবে এবং তারা এতই স্বচ্ছ কাপড়পরিধান করবে যে এতে তাদের ‘আউরা’ (দেহের অঙ্গ যা অবশ্যই গুপ্ত ঠাকতে হয়) দেখা যাবে যখন তারা বসবে ও হাঁটবে। ঐভাবে যদিও আপাতত ভাবে তারা পোশাক পরিধান করেছে কিন্তু বাস্তবে তারা নগ্ন কারন তাদের কাপড় টাইট হওয়ার জন্য।

আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত মুহাম্মাদ (সা:) বলছেন, জাহান্নামে দুই ধরণের মানুষ আছে যাদের আমি দেখিনি, চাবুক নিয়ে তাদের পেটানো হচ্ছে যেমন করে গবাদি পুশুর লেজ ধরে টানা হয়। এর কারন তারা লোকদের সাথে ঝগড়া করতো। আর সবচাইতে খারাপ মহিলা বা মেয়ে হল তারা যারা কাপড় পড়া অবস্থায় যেন নগ্ন এদের বলে ‘মুমেলা’, কারন তারা অন্যদের পথভ্রষ্ট করে অতএব তারা নিজেও দোষী এবং অন্যদের ও দোষী করে। মালিয়াত (আল্লাহ্‌র আনুগত্য থেকে পথভ্রস্ট এবং তার আদেশ মেনে চলে না) চলন ভঙ্গি তে সত্য থেকে বিমুখ হয় ও অন্যদের বিপদে ফেলে। তাদের মাথা দেখতে যেন ঠেসে যাওয়া উটের কুঁজ এর মত। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং এর সুগন্ধিও পাবে না। হয়তবা এটাই সুগন্ধি আমাদের জন্য যা কোন কিছু কে সনাক্ত করছে এবং কিছু দূরত্ব কে। [সহিহ মুসলিম]

কেয়ামতের আলামত আমাদের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে যা নবী মুহাম্মাদ (সা:) ১৪০০ আগেই ভবিষ্যৎ বানী করেছেন।

Thursday, 31 January 2013

Words vs. Actions – The boy who liked eating sweets


There once was a boy who loved eating sweets. He always asked for sweets from his father. His father was a poor man. He could not always afford sweets for his son. But the little boy did not understand this, and demanded sweets all the time.
The boy’s father thought hard about how to stop the child asking for so many sweets. There was a very pious man living nearby at that time. The boy’s father had an idea. He decided to take the boy to the great man who might be able to persuade the child to stop asking for sweets all the time.
The boy and his father went along to the great man. The father said to him, “O pious man, could you ask my son to stop asking for sweets which I cannot afford?” The great man was in difficulty, because he liked sweets himself. How could he ask the boy to give up asking for sweets? The man told the father to bring his son back after one month.
During that month, the pious man gave up eating sweets, and when the boy and his father returned after a month, the pious man said to the boy “My dear child, will you stop asking for sweets which your father can not afford to give you?”
From then on, the boy stopped asking for sweets.
The boy’s father asked the man, “Why did you not ask my son to give up asking for sweets when we came to you a month ago?” The pious man replied, “How could I ask a boy to give up sweets when I loved sweets myself. In the last month I gave up eating sweets.”
A person’s example is much more powerful than just his words. When we ask someone to do something, we must do it ourselves also. We should not ask others to do what we do not do ourselves.