•► লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের চিহ্ন, নিশানা, আলামত সমূহঃ
•► শবেকদরের কিছু আলামত আছে যা রাতের মধ্যেই দেখা যায় এবং আর কিছু আলামত আছে যা রাতের পরে সকালে দেখা যায়। যে সব আলামত রাতে পরিলক্তিত হয় তা নিম্নরূপঃ-
১. শবে কদরের রাতের আকাশ অস্বাভাবিক উজ্জ্বল থাকে। অবশ্য এ আলামত শহর বা গ্রামের ভিতর বিদ্যুতের আলোর মাঝে থেকে লক্ষ্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু যারা আলো থেকে দূরে মাঠে-ময়দানে থাকে, তারা সে ঔজ্জ্বল্য লক্ষ্য করতে পারে।
২. অন্যান্য রাতের তুলনায় শবে কদরের রাতে মুমিন তার হৃদয়ে এক ধরনের প্রশস্ততা, স্বস্তি ও শান্তি বোধ করে।
৩. অন্যান্য রাতের তুলনায় মুমিন শবে কদরের রাতে কিয়াম বা নামাযে অধিক মিষ্টতা অনুভব করে।
৪. এই রাতে বাতাস নিস্তব্ধ থাকে। অর্থাৎ, সে রাতে ঝোড়ে বা জোরে হাওয়া চলে না। আবহওয়া অনুকূল থাকে। মহানবী (সঃ) বলেন, “শবে কদরের রাত উজ্জ্বল।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং) অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “নাতিশীতোষ্ণ; না ঠাণ্ডা, না গরম।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)
৫. শবে কদরের রাতে উল্কা ছুটে না। (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)
৬. এ রাতে বৃষ্টি হতে পারে। মহানবী (সঃ) বলেন, “আমাকে শবে কদর দেখানো হয়েছিল; কিন্তু পরে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাত্রে তা অনুসন্ধান কর। আর আমি দেখেছি যে, আমি পানি ও কাদাতে সিজদা করছি।” (সহীহ বুখারী ২০১৬, সহীহ মুসলিম ১১৬৭) অতঃপর ২১শের রাত্রিতে সত্যই বৃষ্টি হয়েছিল।
৭. শবে কদর কোন নেক বান্দা স্বপ্নের মাধ্যমেও দেখতে পারেন। যেমন কিছু সাহাবা তা দেখেছিলেন।
পক্ষান্তরে যে সব আলামত রাতের পরে সকালে দেখা যায় তা হল এই যে, সে রাতের সকালে উদয়কালে সূর্য হবে সাদা; তার কোন কিরণ থাকবে না। (মুসলিম ৭৬২নং) অথবা ক্ষীণ রক্তিম অবস্থায় উদিত হবে; (সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭৫নং) ঠিক পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত। অর্থাৎ, তার রশ্মি চারিদিকে বিকীর্ণ হবে না।
আর লোক মুখে যে সব আলামতের কথা প্রচলিত; যেমনঃ সে রাতে কুকুর ভেকায় না বা কম ভেকায়, গাছ-পালা মাটিতে নুয়ে পড়ে আল্লাহকে সিজদা করে, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মিঠা হয়ে যায়, নূরের ঝলকে অন্ধকার জায়গা আলোকিত হয়ে যায়, নেক লোকেরা ফিরিশতার সালাম শুনতে পান ইত্যাদি আলামতসমূহ কাল্পনিক। এগুলি শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাছাড়া এ সব কথা নিশ্চিতরূপে অভিজ্ঞতা ও বাস্তববিরোধী। (দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস-সায়েমীন ৯২পৃঃ, আশশারহুল মুমতে’ ৬/৪৯৮-৪৯৯)
•► শবেকদরের কিছু আলামত আছে যা রাতের মধ্যেই দেখা যায় এবং আর কিছু আলামত আছে যা রাতের পরে সকালে দেখা যায়। যে সব আলামত রাতে পরিলক্তিত হয় তা নিম্নরূপঃ-
১. শবে কদরের রাতের আকাশ অস্বাভাবিক উজ্জ্বল থাকে। অবশ্য এ আলামত শহর বা গ্রামের ভিতর বিদ্যুতের আলোর মাঝে থেকে লক্ষ্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু যারা আলো থেকে দূরে মাঠে-ময়দানে থাকে, তারা সে ঔজ্জ্বল্য লক্ষ্য করতে পারে।
২. অন্যান্য রাতের তুলনায় শবে কদরের রাতে মুমিন তার হৃদয়ে এক ধরনের প্রশস্ততা, স্বস্তি ও শান্তি বোধ করে।
৩. অন্যান্য রাতের তুলনায় মুমিন শবে কদরের রাতে কিয়াম বা নামাযে অধিক মিষ্টতা অনুভব করে।
৪. এই রাতে বাতাস নিস্তব্ধ থাকে। অর্থাৎ, সে রাতে ঝোড়ে বা জোরে হাওয়া চলে না। আবহওয়া অনুকূল থাকে। মহানবী (সঃ) বলেন, “শবে কদরের রাত উজ্জ্বল।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং) অন্য এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “নাতিশীতোষ্ণ; না ঠাণ্ডা, না গরম।” (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)
৫. শবে কদরের রাতে উল্কা ছুটে না। (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, মু’জাম, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২১৯২, প্রমুখ, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭২, ৫৪৭৫নং)
৬. এ রাতে বৃষ্টি হতে পারে। মহানবী (সঃ) বলেন, “আমাকে শবে কদর দেখানো হয়েছিল; কিন্তু পরে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বিজোড় রাত্রে তা অনুসন্ধান কর। আর আমি দেখেছি যে, আমি পানি ও কাদাতে সিজদা করছি।” (সহীহ বুখারী ২০১৬, সহীহ মুসলিম ১১৬৭) অতঃপর ২১শের রাত্রিতে সত্যই বৃষ্টি হয়েছিল।
৭. শবে কদর কোন নেক বান্দা স্বপ্নের মাধ্যমেও দেখতে পারেন। যেমন কিছু সাহাবা তা দেখেছিলেন।
পক্ষান্তরে যে সব আলামত রাতের পরে সকালে দেখা যায় তা হল এই যে, সে রাতের সকালে উদয়কালে সূর্য হবে সাদা; তার কোন কিরণ থাকবে না। (মুসলিম ৭৬২নং) অথবা ক্ষীণ রক্তিম অবস্থায় উদিত হবে; (সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৫৪৭৫নং) ঠিক পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত। অর্থাৎ, তার রশ্মি চারিদিকে বিকীর্ণ হবে না।
আর লোক মুখে যে সব আলামতের কথা প্রচলিত; যেমনঃ সে রাতে কুকুর ভেকায় না বা কম ভেকায়, গাছ-পালা মাটিতে নুয়ে পড়ে আল্লাহকে সিজদা করে, সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মিঠা হয়ে যায়, নূরের ঝলকে অন্ধকার জায়গা আলোকিত হয়ে যায়, নেক লোকেরা ফিরিশতার সালাম শুনতে পান ইত্যাদি আলামতসমূহ কাল্পনিক। এগুলি শরয়ী দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাছাড়া এ সব কথা নিশ্চিতরূপে অভিজ্ঞতা ও বাস্তববিরোধী। (দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস-সায়েমীন ৯২পৃঃ, আশশারহুল মুমতে’ ৬/৪৯৮-৪৯৯)
No comments:
Post a Comment
Zajakallah Khairan